নতুন এই কোম্পানিতে বেক্সিমকোর অংশীদার হয়েছে রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগ ও শিল্প প্রতিষ্ঠান জিএস গ্রুপ।বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স লিমিটেড নামের এই যৌথ প্রকল্প জিএস গ্রুপের সমন্বিত প্রযুক্তি সেবা দিবে বাংলাদেশের গ্রাহকদের।
ডিটিএইচ প্রযুক্তির মাধ্যমে দর্শক তার বাড়িতে একটি রিসিভার ইন্সটলের মাধ্যমে সরাসরি সিগন্যাল গ্রহন করতে পারবেন। ব্রডকাস্টিং কোম্পানিগুলোকে আলাদা তারের মাধ্যমে প্রতিটি টিভি সেটে সংযোগ দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
২০১৪ সালের শেষ দিকে বানিজ্যিকভাবে ডিটিএইচের কার্যক্রম শুরু হবে এবং ২০১৫ সালের মধ্যে ৩ লাখ গ্রাহককে এই সেবা প্রদানের লক্ষ্য স্থির করেছে বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স লিমিটেড। এরপর প্রতিবছর চার লাখ নতুন গ্রাহকের কাছে সেবা পৌঁছানোর প্রাথমিক লক্ষ্য ঠিক করেছে কোম্পানিটি।
যৌথ উদ্যোগে গৃহীত এই কার্যক্রমের আওতায় স্থানীয় ও শীর্ষ আন্তর্জাতিক চ্যানেলগুলো উপভোগের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে কোন বৈধ ডিটিএইচ অপারেটর নেই। টিভি দর্শকদের কয়েকটি কেবল অপারেটর ও টেরিস্ট্রিয়াল টেলিভিশন চ্যানেলের ওপর নির্ভর করতে হয়।‘
তিনি বলেন বাংলাদেশি দর্শকদের কোন স্থানীয় টিভি অনুষ্ঠান উপহার না দিয়ে ভারতীয় ডিটিএইচ অপারেটররা অবৈধভাবে ডিটিএইচ সিগন্যাল ব্রডকাস্ট করছে। তিনি আরো বলেন, ‘মানসম্মত বৈধ টিভি সার্ভিস নিয়ে যদিও তেমন কোন আলোচনা নেই, কিন্তু ১৬ কোটির বেশি মানুষের দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহক পাবে বলে প্রত্যাশা করছে বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স লিমিটেড।‘
জীএস গ্রুপের বিদেশী প্রকল্প পরিচালক সের্গেই দোলগোপলস্কি বলেছেন, “বাংলাদেশে প্রথম বারের মত ডিটিএইচ চালুর পথ মসৃণ করতে ২০১৪ শালে ‘হেড-অ্যান্ড’ ও ‘আপ-লিঙ্ক’ ইন্সটল করা হবে।“
তিনি বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশেই আমাদের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে।‘
ডিটিএইচ সেবার মাধ্যমে একটি স্যাটেলাইট সিস্টেম ব্যবহার করে সরাসরি গ্রাহকের আঙ্গিনায় টিভি সিগন্যাল পৌঁছে দিয়ে মাল্টি-চ্যানেল টিভি প্রোগ্রাম দেখার সুযোগ করে দেওয়া হবে। ডিটিএইচ সংযোগ দিতে ব্রডকাস্টিং কোম্পানি একটি ডিশ ও রিসিভার সেট প্রদান করবে যা, ডিশের মাধ্যমে সিগন্যাল গ্রহণ করে রিসিভিং সেটের সাহায্যে দর্শকরা টিভিতে বিভিন্ন চ্যানেল দেখতে পারবেন। ওই সেটের মাধ্যমেই শুধু গ্রাহকেরা কাঙ্ক্ষিত চ্যানেলগুলো দেখার সুযোগ পাবেন।